নিজস্ব প্রতিবেদক
প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট ও পলিথিনে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের দূষণ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। যার ফলেহুমকিতে পড়ছে বনের বাস্তুতন্ত্র। বিষয়টি উদ্বেগের হলেও, সরকার ও বন বিভাগকে তেমন কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ১১টায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার কানাইনগর গ্রাম সংল্গন পশুর নদীর তীরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় সুন্দরবনের মাছে মাইক্রো প্লাস্টিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এতে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সুন্দরবনের জলজপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় প্লাস্টিক পলিথিন বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলতে হবে। শুধুমাত্র সুন্দরবনে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলে হবেনা, সমগ্র উপকূলজুড়ে এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার দাবি জানান আয়োজকরা।
মোংলা নাগরিক সমাজ ও মোংলা উপজেলা জেলে সমিতির আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, পরিবেশকর্মী মোঃ নূর আলম শেখ, সার্ভিস বাংলাদেশ’র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, মোংলা নাগরিক সমাজের জানে আলম বাবু, সুমন রানা, জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, শাহাদত ব্যাপারী, মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমূখ।
মোংলা উপজেলা জেলে সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎ মন্ডল’র সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পরিবেশকর্মীরা যোগাযোগ করেন।
পরিবেশকর্মী মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, প্রতিবছর ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য জলজ পরিবেশে প্রবেশ করে। যা জীববৈচিত্র ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। এসব প্লাস্টিক জলজপ্রাণী বিশেষ করে মাছের মারত্মক ক্ষতি হচ্ছে। নদী দূষণের ফলে ইলিশ মাছের স্বাস্থ্যহানির ফলে দেহের আকার ছোট হয়ে গেছে। দূষণের ফলে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে করে, পরিবেশ সম্মত বিশ্ব গড়ার জন্য সরকারকে কঠোর হওয়ার দাবি জানান এই পরিবেশকর্মী।
আপনার মতামত লিখুন :