সাকিবকে ঘিরে জল্পনা, যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা


বাগেরহাট নিউজ ২৪ ডেস্ক প্রকাশের সময় : জুন ৪, ২০২৫, ২:৩৬ অপরাহ্ন /
সাকিবকে ঘিরে জল্পনা, যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স হতাশাজনক। লিটন দাস তাওহীদ হৃদয়দের ব্যর্থতায় সমালোচনার তীরে বারবার উঠে আসে সাকিব আল হাসানের নাম। সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর অনেকেই আফসোস করে বলেছেন, “সাকিব থাকলে হয়তো চিত্রটা ভিন্ন হতে পারতো!”

এমন পরিস্থিতিতে সাকিবকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে নতুন করে মুখ খুলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে তার মন্তব্যে প্রত্যাশিত ইতিবাচক বার্তা মেলেনি। যমুনা টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সাকিব unquestionably বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। তার খেলোয়াড়ি দক্ষতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে অন্যান্য বিষয়যেমন মামলামোকদ্দমা আর্থিক অনিয়মএগুলো তাকে নিজেকেই মোকাবিলা করতে হবে।

এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নবনিযুক্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সাকিবের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, “সাকিব একজন দারুণ অলরাউন্ডার, দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আমরা চাই সে ফিট থাকুক এবং ভালো পারফর্ম করুক। তবে খেলোয়াড় বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত ক্রীড়া উপদেষ্টার না, এটি নির্বাচকদের কাজ। আমাদের একটি নির্ধারিত প্রক্রিয়া রয়েছে, এবং আমরা সেটিকে সম্মান করি।

এই বক্তব্যে পরিষ্কার, সাকিবের দলে ফেরা এখনো অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে।

বুলবুলের আগের বক্তব্য   ক্রীড়া উপদেষ্টার বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে সাকিবকে নিয়ে ধোঁয়াশা কাটবার নয়। কেননা সাকিবের সামনে যেসব মামলা আছে, সেগুলোর সুরাহা না করে তিনি জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন না। ফলে অদূর ভবিষ্যতে তার খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

এদিকে, ক্রীড়া উপদেষ্টা দাবি করেছেন বিসিবির পরিচালকরা তার সঙ্গে ক্রিকেটের বাইরের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতেন, ‘এটা দুঃখজনক যে, বিসিবি কর্তাদের সঙ্গে যখনই কথা হতো, তারা ক্রিকেটের বাইরের আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। আমি তাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছিলাম, আমার সঙ্গে যেন ব্যবসা কিংবা তদবির নিয়ে কথা না বলেন।

এছাড়া, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট বার্তা ছিল বিসিবির সভাপতির পাশে কারা বসবনে, কারা থাকবেন। এই কারণে সভাপতি হিসেবে তিনিও তেমন কিছু করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন ফারুক। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘ফারুক আহমদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, সরাসরি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কোনও বোর্ড কর্তার সঙ্গে যেন অত বেশি ক্লোজ না হন।