গাজা ইস্যুতে ইরান-পাকিস্তান একত্রে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানে


বাগেরহাট নিউজ ২৪ ডেস্ক প্রকাশের সময় : মে ২৭, ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন /
গাজা ইস্যুতে ইরান-পাকিস্তান একত্রে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইরান ও পাকিস্তান সম্প্রতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে একযোগে অবস্থান গ্রহণ করেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইসরাইলকে অভিন্ন শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সম্প্রতি তেহরান সফরে গিয়ে খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যেখানে ইসলামিক ঐক্য গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ইরান পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী আস্তানার বিরুদ্ধে হামলা চালায়, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছে, যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে, ইরান ও পাকিস্তান ইসরাইলের বিরুদ্ধে একত্রে অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্যের ইঙ্গিত দেয়। এই পদক্ষেপ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত প্রতিরোধ গঠনে সহায়ক হতে পারে।

তেহরান সফরে গিয়ে প্রথমে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শেহবাজ। বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন দেবে পাকিস্তান। এছাড়া ইরান পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ রুখতে যৌথ পদক্ষেপেরও আহ্বান জানান তিনি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ইসলামাবাদ কখনোই তাদের ভূখণ্ডকে তেহরানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেবে না। সংবাদ সম্মেলনে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে পশ্চিমা বিশ্বের নির্লজ্জ নীরবতার বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে পাকিস্তান ও ইরান ঐক্যবদ্ধ।

এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের মধ্যে ইসরাইলবিরোধী অবস্থানে অবিচল থেকেছে। একইসঙ্গে তিনি গাজায় ৫৪ হাজার মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবতার ওপর এক ‘গভীর কলঙ্ক’ বলে আখ্যা দেন।

জবাবে খামেনি বলেন, ইরান ও পাকিস্তান যৌথভাবে কাজ করলে গাজায় ইসরাইলি অপরাধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব। খামেনি সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং ইকো সংস্থার সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে পাকিস্তানকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য তিন বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ বিলিয়নে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।