সাইবার সিকিউরিটি আইনে বড় পরিবর্তন: ৯ ধারা ও ৯০% মামলা বাতিল


বাগেরহাট নিউজ ২৪ ডেস্ক প্রকাশের সময় : মে ৬, ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন /
সাইবার সিকিউরিটি আইনে বড় পরিবর্তন: ৯ ধারা ও ৯০% মামলা বাতিল

আগের সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৯টি ধারা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগের সরকারের মনগড়া ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক মামলা বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (৬ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।

নতুন অধ্যাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:

ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নাগরিক অধিকার: প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকারকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ: অনলাইন জুয়াকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নারী শিশুর সাইবার হয়রানি: নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সাইবার হয়রানি ও নির্যাতনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে অপরাধ: AI ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধকে প্রথমবারের মতো অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো: ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার মতো কনটেন্ট প্রকাশকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা আইনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এ সপ্তাহে আইনটি চূড়ান্ত হবে।তিনি জানান, বিগত সরকারের আমলে জাতির পিতা এবং জাতীয় পতাকা অবমাননা নিয়ে যেসব মামলা হতো সেগুলোসহ ৯টি ধারা বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া ৯টি ধারায় ৯৫ শতাংশ মামলা হতো, যা এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।উপদেষ্টা জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক মামলাগুলোকে দ্রুত আমলে নেয়ার ব্যাপারে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি আইনে।

তিনি আরও বলেন, তিনটা আইনের অনুমোদন হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইনের খসড়া অনুমোদন। সিভিল প্রসিডিউর কোর্ট-সিপিসি আইনের অনুমোদন। এর ফলে সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।

তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের বড় সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া হবে না। নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে অনেকে বিদ্বেষমূলক আচরণ এবং অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। ভিন্নমতের প্রকাশ শালীনভাবে হওয়া প্রয়োজন। নারী সংস্কার কমিশন শুধুমাত্র তাদের সুপারিশ দিয়েছে।