নিজস্ব প্রতিবেদক
এক ছাদের নিচে কাটিয়ে দেওয়া এক বছর, স্মৃতির পাতায় জমে থাকা মুহূর্ত, আর ভবিষ্যতের একশো বছরের স্বপ্ন— সব মিলিয়ে প্রথম বিবাহবার্ষিকীটা অন্যরকমভাবেই কাটাচ্ছেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী অকপট বললেন, “বছরটা যেন হুশ করে উড়ে গেল!” বয়সের ব্যবধান, সম্পর্কের জটিল সমীকরণ, কাঞ্চনের অতীত— সবকিছু ছাপিয়ে তিনি ধরে রেখেছেন ভালোবাসার শর্ত। বলেছেন, “আমি স্বামী হিসেবে বয়সে বড় মানুষই চেয়েছি, কারণ সে আমাকে আগলে রাখবে। কাঞ্চন তাই করে।”
একের পাশে কয়টা শূন্য বসাতে চান? প্রশ্ন শুনে হাসলেন শ্রীময়ী। বললেন, “দুটো শূন্য বসাতে খুব মন চাইছে। জানি না, এত বছর বাঁচব কি না। আমার ঠাকুমা অবশ্য শতবর্ষ পেরিয়েছেন। তাই আশা, আমিও হয়তো তার মতোই দীর্ঘায়ু হব।” একটু দম নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন অভিনেত্রী, ‘তাহলে কাঞ্চনের সঙ্গে ১০০ বছর কাটিয়ে যেতে পারব, কী বলেন?’
প্রথম বিবাহবার্ষিকীর দিন মন্দিরে ঘুরবেন, ঈশ্বরের আশীর্বাদ নেবেন, নিরামিষ খাবেন— আপাতত এই পরিকল্পনা কাঞ্চন-শ্রীময়ীর।
আজকের দিনে অতীত ফিরে দেখে কী মনে হচ্ছে, স্মৃতি বেদনার? না সুখের? ফোনের ওপার থেকে কাঞ্চনের গলা ভেসে আসছে। বয়সে ২০ বছরেরও বেশি ছোট বৌকে তাড়া দিচ্ছেন, তৈরি হয়ে বের হওয়ার জন্য। তাকে সাড়া দিয়ে শ্রীময়ী জবাব, “বিয়ে করব, এক ছাদের নীচে বসবাস করব, পছন্দের পুরুষের সন্তানের মা হব— এই ভাবনা নিয়ে সম্পর্কে জড়াইনি। ভালবাসার মানুষকে ভালো রাখব, এটাই ছিল শর্ত। সেই শর্ত পূরণ করেছি।”
তবুও শ্রীময়ীকে শুনতে হয়েছে, নিজের ভবিষ্যৎ গোছাতে বয়সে অনেক বড় এক পুরুষের ঘরণী হয়েছেন। যার জীবনে আপনি তৃতীয়! আপনিই ঘর ভেঙেছেন কাঞ্চন মল্লিকের!
বরাবরই অকপট শ্রীময়ী। এবারও স্পষ্টভাষায় বললেন, ‘আমি মনের দিক থেকে ভীষণ সাহসী। বিয়ে না করেও কাঞ্চনের সন্তানের মা হতে পারতাম। আপনারা সেটা মানতে পারতেন না। তাই আনুষ্ঠানিক বিয়ে। যদিও বিয়ের আগে কাঞ্চনকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করেছি, কোনও আপত্তি নেই তো? আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করছি না তো? কাঞ্চন মন থেকেই আমাকে স্ত্রী হিসেবে চেয়েছে।
একটু দম নিয়ে আবারও বলতে শুরু করলেন শ্রীময়ী, ‘বরাবর আমি বয়সে বড় স্বামী চেয়েছি। কারণ সমবয়সী বা অল্প ফারাকের বিয়ের পরিণতি যে কী— সেটা রোজ সকলেই দেখছি। বরং বয়সে বড় হলে সে আমাকে আগলে রাখবে। কাঞ্চন যা করে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন নিজের দাদু-দিদা, মা-বাবার। জানিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের বয়সের ফারাক অনেক। কিন্তু তারা সুখী। সাফ বলেছেন, ‘স্ত্রীর প্রতি প্রেম থাকলে বিবাহিত পুরুষের কখনও অন্য নারীতে আসক্তি আসে না। কাঞ্চনের অতীত নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমার বিশ্বাস, সাদা বা গোলাপি— যিনিই ছিলেন তিনি যদি সত্যিই থাকতেন তাহলে কাঞ্চন আমার দিকে ফিরেও দেখত না।’
এম, এস
আপনার মতামত লিখুন :