নিজস্ব প্রতিবেদক
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘের সংক্রান্ত বিরোধের একটি সালিশ বৈঠক স্থলে মারপিটে মহিউদ্দিন মহারাজ (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে।এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ভাই শওকত আলী জোমাদ্দার(৫৫)। এ ঘটনায় শনিবার(১মার্চ) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে থেকে অভিযুক্ত সাবেক সেনা সদস্য মোঃ মিজানুর রহমানকে আটক করছে পুলিশ
এ আগে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিউদ্দিন মহারাজ বরইতলা গ্রামের আবুবকর জোমাদ্দারের ছেলে। তার স্ত্রী ও ৪ সস্তান রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম ও স্থানীয়রা বলেন, ৪ বিঘা জমির একটি চিংড়ি ঘেরের মধ্যে সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান কিছু জমি পাবে বলে দাবি তুলে ঘেরর মাছ লুট ও ঘের দখলের অভিযোগ দায়ের করে থানায়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য লক্ষীখালী ফাঁড়ি পুলিশের ওপর দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী ফাঁড়ির আইসি এসআই মো. সাইদুর রহমান শুক্রবার দুই পক্ষকে কাগজপত্র ও মনোনীত শালীষদের নিয়ে ফাঁড়িতে আসতে বলেন।সালিশ বৈঠক চলাকালিন আইসি সাইদুর রহমান অনুপস্থিত থাকায় পক্ষদ্বয় ফাঁড়ির সামনে রাস্তায় বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এসময় অভিযোগের বাদি সার্জেন্ট (অব) মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা বিবাদী মহিউদ্দিন মহারাজ, তার বড় ভাই শওকত জোমাদ্দারসহ ৪-৫জনকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
আহত দুই ভাইকে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মহিউদ্দন মহারাজ মারা যায়।
মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, ফাঁড়ির ইনচার্জ না থাকায় পক্ষদ্বয় মারপিটে লিপ্ত হয়। এতে আহত মহিউদ্দিন মহারাজ মারা যায়। নিহতের লাশের ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।
এম, এস
আপনার মতামত লিখুন :