নিজস্ব প্রতিবেদক,
রমজানের সেহরি ও ইফতারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কেনাকাটায় বাগেরহাটের বাজারগুলোতে ভিড় জমেছে ক্রেতাদের। দরগামাজারসহ জেলার অন্যান্য বাজারেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট কেনাবেচা চলছে। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজি ও মাছের দাম কিছুটা সহনীয় হলেও লেবুর ঝাঁজ যেন আগুন হয়ে উঠেছে।
বাজার করতে আসা হান্নান ফকির বলেন, গত বছর রমজানের সময় মাছ ও সবজির দাম অনেক বেশি ছিল। এবার তুলনামূলক কম। তবে লেবুর দাম শুনলে বুক কাঁপে! প্রতি পিস লেবু ১৫ টাকা।
তবে বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন খরচ ও সরবরাহ সংকটের কারণেই লেবুর দাম বেশি। দরগামাজারের সবজি বিক্রেতা রফিক মোল্লা জানান, এবার শীতকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দাম একটু কম।
গজর ৪০ টাকা,, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ওস্তে ৮০ , কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে লেবুর দাম বেশি কারণ সরবরাহ কম। মাছের দামে ও রয়েছে স্বস্তি মাছের বাজারেও গত বছরের তুলনায় খানিকটা স্বস্তি দেখা গেছে। পাঙ্গাশ ১৮০-২০০ টাকা, টেংরা ৩৫০-৪০০ টাকা, দেশি শিং ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা ইলিশ মাছ ৫০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় রুই ও কাতলার দাম কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
এ দিকে বাগেরহাটের বাজারে গরুর গোশত ৭৫০, খাসি এক হাজার, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২২০ এবং সোনালি ৩০০ এবং দেশি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব গোশতের দাম গেল একমাস আগেও এ রকম ছিল।
বাজার করতে আসা গৃহবধূ রোজিনা বেগম বলেন, “সবজির দাম সহনীয় মনে হচ্ছে, মাছের বাজারও ভালো। তবে বড় মাছের দাম বেশি। লেবুর চাপে টক খেতে কষ্ট হবে মনে হচ্ছে!”
জাতীয় ভুক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারি পরিচালক সুলতানা বলেন , রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের আমাদের নজরদারি অব্যাহত থাকবে। অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :