-সংবাদ সম্মেলনে বিচার দাবী

‘ঘুষখোর সার্ভেয়ার তারেকুর ও আ’লীগ নেতা ইজাবুলের জন্য আজ আমি পথের ফকির’


বাগেরহাট নিউজ ২৪ ডেস্ক প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৫, ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন /
‘ঘুষখোর সার্ভেয়ার তারেকুর ও আ’লীগ নেতা ইজাবুলের জন্য আজ আমি পথের ফকির’

‘বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের ঘুষখোর সার্ভেয়ার মো. তারেকুর রহমান ও বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা ইজাবুল কাজীর জন্য আজ আমি পথের ফকির। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও এক ছেলেসহ ৮ সদস্যর পরিবার বাঁচাতে এখন তেল বিক্রি করতে পথে পথে ঘুরি। ওই দুই দুষ্টু লোকের বিচার ও নজরুল কাজী এবং বাদশা কাজীদের কাছ থেকে শেষ সম্বল ১৩ শতক বসতভিটা রক্ষার্থে প্রাশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হাড়িয়ারঘোপ গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে মোঃ মিজানুর সরদার (৪৮) এ সব কথা বলেন।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মোঃ মিজানুর সরদার জানান, তিনি ও তার ভাই আমিনুর সরদার হাড়িয়ারঘোপ মৌজায় (ডিপি নং-১৭০৮, দাগ নং-২১৭২) পৈত্রিক সূত্রে ১৩ শতক জমি প্রাপ্ত হন। যা জরিপে তাদের নামে রেকর্ড হয় এবং তারা মাঠ পর্চা সংগ্রহ করেন। ওই জমিকে কেন্দ্র করে নজরুল ইসলাম ও বাদশা গং ৩০ ধারায় তাদের নামে সেটেলমেন্টে মামলা করে। উক্ত মামলায় তারা দুই ভাই রায় পান ও ভোগদখলরত আছেন। পরবর্তীতে বিবাদী মোঃ নজরুল ইসলাম ও বাদশা গং সেটেলমেন্টে আপীল করেন। উক্ত আপীল মামলায় কাজী নজরুল ইসলাম না দাবি দিয়ে মুচলেকা দেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা ইজাবুল কাজীর ইন্দনে কাজী নজরুল পুনরায় ৪২ এর ক ধারায় জোনাল সেটেলমেন্টে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তদন্ত ভার চিতলমারী উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ তারেকুর রহমান উপর ন্যস্ত হয়। এলাকার শত শত মানুষের সামনে সার্ভেয়ার মোঃ তারেকুর রহমান স্বাক্ষী গ্রহণ করেন এবং তাদের দখল রয়েছে মর্মে উপস্থিত জনসাধারণ তদন্ত কাগজে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ইজাবুল কাজীর মধ্যস্থতায় মোটা অংকের ঘুষ গ্রহন করে সার্ভেয়ার মোঃ তারেকুর রহমান রির্পোট তাদের বিপক্ষে প্রদান করেছেন। তদন্ত রিপোর্ট জোনাল অফিসের কর্মরত এক ব্যক্তি মিজানুরকে দেখিয়েছেন। এখন তিনি জমির রেকর্ড বহালসহ ঘুষখোর সার্ভেয়ার মোঃ তারেকুর রহমান ও আওয়ামীলীগ নেতা কাজী ইজাবুল রহমানের বিচার দাবি করেছেন। কারণ এই জমি রক্ষার জন্য গত ১০-১৫ বছর ধরে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নানা হয়রানি, নির্যাতন ও একাধিক মামলা হামলার শিকার হয়েছেন।

এ ব্যাপারে বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইজাবুল কাজী বলেন, ‘আমি আওয়ামীলীগ নেতা নই, সমর্থক। নজরুল কাজী এবং বাদশা কাজী আমার আত্মীয়। তাই তারা ডাকলে তো তাদের কাজে একটু যাওয়া লাগে।’

তবে চিতলমারী উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার মো. তারেকুর রহমান ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করে বলেন,‘আমি মনে হয় মিজানুরের পক্ষেই তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি। আগামীকাল খুলনা জোনাল অফিস থেকে রিপোর্ট এনে আপনাদের দেখাবো।’